সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২২ পূর্বাহ্ন
মোঃ জসিম উদ্দীন, নিজস্ব প্রতিনিধি, কালের খবর :
মালয়েশিয়ার ক্লাং উপত্যকায় গত রোববার রাত ৮টার দিকে এমএসিসি বা মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন পরিচালিত এক অভিযানে ঢাকার রিক্রুটিং এজেন্সি আফিফা ওভারসিসের স্বত্বাধিকারী আলতাব খান (RL নং- 1010 ) মালয়েশিয়া গ্রেফতার হয়েছেন।মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন (MACC) তার বিরুদ্বে একটি সিন্ডিকেট গঠনের অভিযোগ তদন্ত করতেছে। তার বিরুদ্বে অভিযোগ রয়েছে দেশটির বিমানবন্দরে কর্মরত কতিপয় অসাধু ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাকে ২০০ থেকে ২৫০০০ রিংগিত ঘুষ প্রদানের মাধ্যমে তার প্রেরিত বাংলাদেশি কর্মীদের নির্বিঘে ইমিগ্রেশন পার করার ব্যবস্থা করতেন তিনি।গতকাল সোমবার সকালে পুত্রজায়া ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দেশটির দুর্নীতি দমন কমিশনের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ম্যাজিস্ট্রেট ইরজা জুলাইখা রোহানউদ্দিন উল্লিখিত ব্যক্তির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট করার অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ ও সচিব আহমেদ মনিরুস সালেহীন সহ প্রভাবশালী ১০১টি রিক্রটিংএজেন্সির মালিকের বিরুদ্ধে ঢাকার পল্টন মডেল থানায় অর্থ আত্মসাৎ ও মানবপাচার আইনে দায়ের করা মামলার বাদি তিনি। এদিকে, মালয়েশিয়ার একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে এমএসিসির গোয়েন্দা পরিচালক দাতুক জয়নুল দারুস এর বরাত দিয়ে তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং বলেছেন মামলাটি দেশটির দুর্নীতি দমন আইন ২০০৯ এর ১৬(এ)(বি) ধারায় তদন্ত করা হচ্ছে।
বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে আরো জানা যায় কিভাবে একজন বাংলাদেশী নাগরিক এই অবৈধ কার্যকলাপের জন্য বিমানবন্দরে একটি “বিশেষ কাউন্টার” ব্যবহার করে ইমেগ্রেশন পার করতেন। এই বাপারে বিস্তারিত তদন্তের স্বার্থে ম্যাজিস্ট্রেট এরজা জুলাইখা রোহানউদ্দিন MACC থেকে রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করেছেন, যা মিঃ খানের ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে আরও তদন্ত করা প্রয়োজন বলে তারা মত প্রকাশ করেছেন।এবং কথিত সিন্ডিকেটের কার্যক্রমের সম্পূর্ণ পরিধি উদঘাটনের জন্য কর্তৃপক্ষ কাজ করছে বলে সেদশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম জানায়।
এখানে উল্লেখ্য যে ৩রা সেপ্টেম্বর, আলতাফ খান, ইচ্ছাকৃতভাবে ১০১ টি অনুমোদিত জনশক্তি নিয়োগকারী সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন, যারা সফলভাবে ৪৭৩,000 অভিবাসী কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠিয়েছেন।এবং এই শ্রমিকরা রেমিটেন্স ফেরত পাঠানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।তাই সংশ্লিষ্ট সবার ধারনা এই স্বনামধন্য সংস্থাগুলির সুনামকে কলঙ্কিত করার লক্ষ্যে, তার নিজের ব্যক্তি স্বার্থে হাসিলের জন্য এবং অন্তর্বর্তী সরকারের অনুগ্রহ লাভের জন্য উনি মামলা টি করেছিলেন।